হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফের সাবরাং মুন্ডারডেইল ও হ্নীলার ওয়াব্রাং এলাকায় বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে ৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা মুল্যের ৩ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে। ইয়াবার বিশাল উদ্ধারের পৃথক অভিযানে কোন চোরাচালানী আটক হয়নি।

টেকনাফ-২ বিজিবি’র পরিচালক অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম জানান ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় মায়ানমার হতে সাগর পথে ইয়াবার একটি চালান আনয়ন করতঃ সমুদ্র উপকূল হতে মুন্ডারডেইল এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ সাবরাং বিওপির নায়েব সুবেদার মোঃ লাল মিয়ার নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল ২ ফেব্রুয়ারি ২টায় সাবরাং ইউপিস্থ মুন্ডারডেইল নৌকা ঘাটের উত্তর পার্শ্বে গমন করতঃ জংগলাকীর্ণ স্থানে ওঁৎ পেতে থাকে। পরবর্তীতে টহল দল সাগরের কিনারা দিয়ে একটি নৌকা আসতে দেখে অপেক্ষারত থাকে। নৌকাটি মুন্ডারডেইল ঘাটে আগমন করলে ৩ জন ব্যক্তি ৩টি প্লাষ্টিকের বস্তা নিয়ে ঘাটে নামা মাত্রই টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এমতাবস্থায় নৌকাটি অতিদ্রুত সাগরের দিকে চলে যায় এবং ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের মাথায় থাকা বস্তাগুলো ফেলে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভেতর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া প্লাষ্টিকের বস্তাগুলো খুলে গণনা করে ৯ কোটি টাকা মূল্যমানের ৩ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে’।

তিনি আরও জানান ‘হ্নীলা ইউপিস্থ ওয়াব্রাং লবণ মাঠ এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপির সুবেদার মোঃ আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহলদল ১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ লবণ মাঠের উত্তর পার্শ্বে একটি সরু রাস্তার নীচে ওঁৎ পেতে থাকে। এসময় টহল দল ৪-৫ জন লোককে পলিথিন দ্বারা মোড়ানো একটি প্যাকেট হাতে লবণ মাঠ দিয়ে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের সাথে থাকা প্যাকেটটি ফেলে কর্দমাক্ত লবণমাঠ দিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভেতর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহল দল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া প্যাকেটটি খুলে গণনা করে ৯০ লক্ষ টাকা মূলমানের ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে’।